কিভাবে কালাচ চিনবেন এবং কালাচ কামড়ালে করনীয় !

image.png
source

কালাচ এর আরেক নাম কালচিতি বা ডোমনা চিতি | ইংরেজিতে বলে Common Krait. অন্যতম সুন্দর সাপেদের একটি এটি | সাপ শব্দটি শুনলে কে না ভয় পায়। শব্দটা শোনার সাথে সাথেই মনে হয় এই বুঝি সামনেই একটা সাপ ফণা তুলে দাঁড়িয়ে হিসহিস করছে। সব সাপ কিন্তু আবার ফণা তুলতে পারে না। এমনই এক সাপ হল কালাচ (Common Krait )।

বাংলাদেশে শতাধিক প্রজাপতির সাপের দেখা মিলে। এই সাপদের বেশিরভাগের কামড়ে মানুষ মৃত্যু হয়না কারণ বিষ নেই। তবে কিছু সাপ আছে যাদের কামড়ে মৃত্যু হতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৩ প্রজাতির গোখরো, ২ প্রজাতির ঢোড়া, ৪ প্রজাতির বোরা (ভাইপার/Viper), ৩/৪ প্রজাতির সামুদ্রিক সাপ ও ২/১ প্রজাতির কোরাল সাপ এবং পাতি কেউটেসহ ৪ প্রজাতির কেউটে আছে, যা বিষধর।

কম বেশি সকলেই কালাচ এর নামের সাথে পরিচিত। এদের শরীরের রঙ চকচকে কালো, বা গাঢ় বাদামী হয়। ঘাড়ের কিছুটা পর থেকে সাদা রঙের জোড়ায় জোড়ায় আংটির মত লেজ পর্যন্ত দাগ থাকে ।এদের পেটের রং সাদা বা হলুদ। উজ্জ্বল গোলাপি বর্ণের জিভ লক্ষ্য করা যায় । কালাচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কালো হয়। মাথাটা হাতের আঙ্গুলের মত আকৃতির হয়। মাথার পর থেকে ৩/৪ টা সাদা চিহ্ন থাকে। তারপর পুরো শরীরে দুটো করে সাদা রঙের দাগ থাকে। কালাচের ডোরা ব্রেসলেটের মত গোলাকার মাথার পরে পেটের দিকে এসে ডোরা ডাবল।

বাংলাদেশের সব সবজায়গায় এই সাপ আছে কিন্তু মানুষের চোখে পড়েনা কারণ এরা নিশাচর। গভীর রাতে এরা বিচরণ করে। কালাচ এশিয়ার অন্যতম বিষধর সাপেদের একটি। কালাচ মূলত দক্ষিণ এশিয়া তে পাওয়া গেলেও ভারত ও বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় |

এরা নিশাচর, গভীর রাতে এরা বিচরণ করে। এরা খাড়া ভাবে উপরে উঠতে পারে। এবং উপরে উঠে মানুষের বিছানায় চলে যায়। বিছানায় গিয়ে মানুষের পাশেই অবস্থা করে। ঘুমন্ত মানুষকে কামড় দেয় বলে এই সাপকে ঘামচাটা সাপও বলা হয় কারণ প্রচলিত আছে এই সাপ ঘুমন্ত মানুষের বিছানায় উঠে আসে ঘামের গন্ধ নিতে। তবে এর পক্ষে-বিপক্ষে অনেক নানা মত থাকলেও বৈজ্ঞানিকভাবে সাপের ঘ্রাণ শক্তি আছে বলে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কালাচের প্রজনন মৌসুম মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এরা মূলত নিশাচর এবং রাত্রের দিকেই শিকার ধরে। এদের খাদ্য সাধারনত অন্য ছোটো সাপ(কালাচ, ঘরচিতি),ইঁদুর, টিকটিকি এবং ব্যাঙ।এরা জলাশয় সংলগ্ন বা স্যাঁতসেঁতে জায়গার আশে পাশেই থাকতে ভালোবাসে। ইঁদুরের গর্ত, বাঁশঝাড়, ইঁটের পাঁজা ,ভাঙ্গা বাড়িতে এরা আশ্রয় নেয়।শিকার ধরার বা আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে এরা মানুষের ঘরে প্রবেশ করে। অনেকেই বলেন,মানুষের ঘামের গন্ধে প্রলুব্ধ হয়েই ঘুমন্ত মানুষের কাছে যায়।যদিও এই কথার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।ঘুমন্ত মানুষ এর পাশে যখন এরা আশ্রয় নেয় তখন ঘুমের ঘোরে এপাশ- ওপাশ করার সময় ই এরা মানুষকে দংশন করে।

এই সাপ কামড় দিলে বিষ প্রয়োগ হবেই। এটি একটি ফণাহীন সাপ। এই সাপের সব চেয়ে ভয়ঙ্কর দিক হচ্ছে এরা শত ভাগ বিষ প্রয়োগ করে। অন্যান্য বিষাক্ত সাপ কামড় দিলে তার ৬০ থেকে ৭০ ভাগ থাকে ড্রাইবাইট। ড্রাইবাইট হচ্ছে কামড় দেবে ঠিকই কিন্তু বিষ প্রয়োগ করবেনা। তবে কালাচের কামড়ে কোন ড্রাইবাইট নেই। সে কামড় দেওয়া মানেই বিষ প্রয়োগ হবে। তার সব চেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে এই সাপে কামড় দিলে মানুষ তা বুঝতেই পারেনা কারণ সাপটির দাঁত মশার হুলের মত তাই কামড়ে বেশিরভাগ সময় দাগ পড়েনা কোন রকম জ্বালা যন্ত্রণা হয় না, আক্রান্ত জায়গা ফুলেনা। ৯০% রোগী বুঝতেই পারেনা তাকে সাপে কামড়েছে। প্রচণ্ড তলপেট ব্যথা, রোগীর চোখের পাতা পড়ে আসে, বমি বমি ভাব হয়, জ্বর হলে যেমন অস্বস্তি হয় তেমনটা হয়। এর পাশাপাশি গাঁটে গাঁটে ব্যাথা হয় এবং কথাও জড়িয়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে রক্ত জমাট বাঁধা শুরু করে তাই এ অবস্থায় রোগীকে চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজ বা জেলা সদরে নিতে হবে দ্রুত।

এই সাপের বিষে প্যারালাইসিস হতে শুরু করে। এর একটি কামড়ে ২০ মি.লি বিষ শরীরে প্রবেশ করে। এর বিষ নিউরোটক্সিন। অন্যান্য সাপের পর যদি সাপের কামড়ে ৪৮ ঘণ্টা অতিক্রম করে কিন্তু কোন সমস্যা হয়না বুঝতে হবে আর কিছু হবার সম্ভাবনা নেই। তবে এই হিসেব কেউটে বা কালাচ সাপের বেলায় মিলবেনা কারণ এই সাপের কামড়ে বিষক্রিয়া হবেই কারণ এদের ড্রাইবাইট (কামড় দেবে কিন্তু বিষ ছাড়বেনা) বলে কিছু নেই। Common Krait সাপের বিষ হচ্ছে Neurotoxic ধরনের যাহ আপনার নার্ভ সিস্টেমকে এটাক করবে, এবং শেষমেষ রেসপিরেটরি ফেইলিউর অর্থাৎ সাফোকেশন বা দমবন্ধ হয়ে নির্ঘাত মৃত্যু ঘটাবে। ৪-৮ ঘন্টার ভিতরে এন্টিভেনম দিতে না পারলে মৃত্যু অবধারিত।

কালাচ পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপগুলার একটি। এর এক ছোবলেই মৃত্যু নিশ্চিত যদি না আপনি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। সাপে কাটা ব্যক্তিকে কখনোই ওঝার কাছে নেওয়া যাবে না। ওঝারা কখনোই সাপের বিষ নামাতে পারে না। মুখ দিয়ে চুষে বা ক্ষতস্হান থেকে রক্ত বের করার মাধ্যমে সাপের বিষ বের করা সম্ভব না। রোগীকে ওঝার কাছে নিয়ে বা নিজে নিজে বিষ বের করার চেষ্টা করা মানে নিজের মৃত্যু নিজেই ডেকে আনা। আক্রান্ত ব্যক্তিকে শান্তনা দিতে হবে এবং তাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। কারণ অনেকেই সাপে কাটার পর ভয়ে স্ট্রোক করে মারা যায়। রোগীকে ঘুমাতে দেওয়া যাবে না। সজাগ রাখতে হবে। আক্রান্ত স্হান নাড়াচাড়া করা যাবে না। নাড়াচাড়া করলে বিষ খুব দ্রুত দেহে ছড়িয়ে পড়বে এবং তাতে রোগী অনেক কম সময় পাবে। যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতাল যেমন জেলা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজে নিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে নিয়ে অ্যান্টিভেনম দিলেই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।

কালাচ বনাম ঘরগিন্নি/ঘরচিতি : কিভাবে চিনবেন

কালাচ

source


কালাচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কালো হয়। মাথাটা হাতের আঙ্গুলের মত আকৃতির হয়। মাথার পর থেকে ৩/৪ টা সাদা চিহ্ন থাকে। তারপর পুরো শরীরে দুটো করে সাদা রঙের দাগ থাকে। কালাচের গায়ে ঘনঘন সাদা ছোপ ছোপ থাকে। কালাচের ডোরা ব্রেসলেটের মত গোলাকার মাথার পরে পেটের দিকে এসে ডোরা ডাবল। কালাচের মাথা গোল থাকে।

ঘরগিন্নি/ঘরচিতি

source


ঘরগিন্নীর গায়ের রঙ বাদামি | মাথাটা চ্যাপ্টা/ত্রিকোণাকৃতির আকৃতির কিছুটা। মাথার পর থেকে স্পট থাকে একটা করে শরীর জুড়ে।
তবে লেজের অংশে কোন স্পট থাকেনা যেটা কালাচের থাকে। ঘরচিতির ডোরা মেয়েদের চুলের বিনুনির মত। ঘরগিন্নি বা ঘরচিতি সম্ভবত বাংলাদেশে ঢোরা সাপের পড়েই সবচেয়ে বেশী দেখা পাওয়া সাপ | কেননা ইনি মানুষের আশেপাশে,ঘরের ভিতরে, মশারির ভিতরে, খাটের উপরে,এসির ভিতরে,বালতির ভিতরে, বেসিনের ভিতরে, কমোডে,পড়ার টেবিলে, মানে আপনার বাসার যেকোন যায়গাই ইনি থাকতে পছন্দ করেন। এবং আপনি যদি ৫ তলাতেও থাকেন। ইনি অনায়াসে ৫ তলা দেওয়াল বেয়ে আপনার রুমে পৌছে যেতে পারেন। ঘরগিন্নি সম্পুর্ন নির্বিষ, বিষহীন একটি শান্ত সাপ।

কিভাবে চিনবেন

১. ভালো করেই চিনে রাখুন ঘরচিতির গায়ের রং তামাটে বা চকলেট কালারের হয়ে থাকে যেখানে কালাচের গায়ের রং বিশুদ্ধ কালো, কখনো কুচকুচে কালো।

২. ঘরচিতির মাথায় লক্ষ করুন, ঘরচিতির মাথার উপর থেকেই সাদা ব্যান্ড মার্ক শুরু হয়, এবার কালাচের মাথায় লক্ষ রাখুন, মাথা থেকে কিছুটা দুর থেকে সাদা ব্যান্ড মার্ক শুরু হয়। কালাচের মাথার উপরে কোন সাদা ব্যান্ড মার্ক থাকেনা। পিওর কালো থাকে। কালাচের ক্ষেত্রে কখনো ব্যান্ড মার্ক দুটো করে থাকতে পারে কখনো ১ টা করে। মাথা থেকে কিছুটা পিছনে বা পরে যেয়ে সাদা ব্যন্ড মার্ক শুরু হয় |

৩. ঘরচিতির মাথা কিছুটা তিনকোনা আকারের এবং কালাচের মাথা আঙ্গুলের মত গোল।

৪. দুটি সাপের লেজের দিকে লক্ষ রাখুন, ঘরচিতির
লেজ পর্যন্ত সাদা ব্যান্ড মার্ক থাকেনা। লেজের অনেক আগেই শেষ হয়ে যায়। কিন্তু কালাচের লেজের শেষ পর্যন্ত সাদা ব্যান্ড মার্ক থাকে।

৫. আরেকটি ছোট পার্থক্য কালাচের চোখের মনি খুবই ছোট ঘরচিতির তুলনায়।

কালাচ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

১. এরা নিশাচর। গভীর রাতে এরা বিচরণ করে। এরা খাড়া ভাবে উপরে উঠতে পারে। এবং উপরে উঠে মানুষের বিছানায় চলে যায়।

২. এই সাপের সব চেয়ে ভয়ঙ্কর দিক হচ্ছে এরা শত ভাগ বিষ প্রয়োগ করে। কালাচের কামড়ে কোন ড্রাইবাইট নেই। সে কামড় দেওয়া মানেই বিষ প্রয়োগ হবে।

৩. এই সাপে কামড় দিলে মানুষ তা বুঝতেই পারেনা কারণ সাপটির দাঁত মশার হুলের মত তাই কামড়ে বেশিরভাগ সময় দাগ পড়েনা কোন রকম জ্বালা যন্ত্রণা হয় না, আক্রান্ত জায়গা ফুলেনা।

৪. এর একটি কামড়ে ২০ মি.লি বিষ শরীরে প্রবেশ করে। এর বিষ নিউরোটক্সিন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে মৃত্যু নিশ্চিত।

৫. পেটে ব্যথা। চোখের পাতা পড়ে আসছে। শ্বাসকষ্ট। কালাচের দংশনের উপসর্গ।

৬. Common Krait সাপের বিষ হচ্ছে Neurotoxic ধরনের যাহ আপনার নার্ভ সিস্টেমকে এটাক করবে, এবং শেষমেষ রেসপিরেটরি ফেইলিউর অর্থাৎ সাফোকেশন বা দমবন্ধ হয়ে নির্ঘাত মৃত্যু ঘটাবে। ৪-৮ ঘন্টার ভিতরে এন্টিভেনম দিতে না পারলে মৃত্যু অবধারিত।

কালাচ সম্পর্কে জনপ্রিয় কিছু ভুল ধারনা

১. প্রচলিত আছে এই সাপ ঘুমন্ত মানুষের বিছানায় উঠে আসে ঘামের গন্ধ নিতে। তবে এর পক্ষে-বিপক্ষে অনেক নানা মত থাকলেও বৈজ্ঞানিকভাবে সাপের ঘ্রাণ শক্তি আছে বলে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

২. কামড়ানোর ১ ঘন্টার মধ্যে ভ্যাক্সিন না দিলে পরে আর কাজ করে না এটা একদমই সত্য নয় |

৩. কামড় দিলেই মৃত্যু এমন নেতিবাচক ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে এটাও ঠিক নয়।

৪. কালাচ ইচ্ছা করেই মানুষ কে কামড়ায় এটিও সত্যি নয় | কোন সাপই মানুষ কে ইচ্ছা করে কামড়ায় না |

আমাদের করনীয়

একান্ত প্রয়োজন ও আক্রমণাত্মক প্রাণঘাতী বিষধর সাপ না হলে সাপ মারা থেকে বিরত থাকুন।বিষধর হোক বা নির্বিষ সাপ দেখলে সাপ কে চলে যেতে দিন সাপ অত্যন্ত ভীত ও নিরীহ দুর্বল প্রাণি । পালানোর রাস্তা না পেলে তবেই এরা কামড়ায়।ওদের তাড়িয়ে দিন বা দূরে সরে গিয়ে বন বিভাগের সহায়তা নিন কিন্তু মারতে যাওয়ার দরকার নেই। এতে নিজের সকল মানুষের ও প্রকৃতির প্রত্যেকটি প্রাণির জন্য মঙ্গল জনক।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সাপকে রক্ষা করতে এবং সাপের কামড় থেকে জীবন বাচাতে সচেতনতার বিকল্প নেই। এই সাপ থেকে বাচতে হলে যা করতে হবে

১. অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে।

২. রাতে চলাচল করলে টর্চলাইট ব্যাবহার করতে হবে।

৩. সাপটিকে দেখলে তাকে মারতে না গিয়ে তাকে নিজের মত চলে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।

৪. বাড়ির আশেপাশের ঝোপঝাড় পরিস্কার রাখতে হবে।

প্রকৃতিতে অবিষধর সাপ আছে তাই বিষধর সাপ দরকার নেই এই টা ভুল ধারনা। দরকার না থাকলে তো বিষধর সাপ থাকতো না। বিষধর হোক আর নির্বিষ সব সাপই দরকার, সব প্রাণির দরকার পরোক্ষ হোক বা প্রত্যক্ষ। এই সাপ কোথাও দেখতে পেলে আপনার পরিচিত রেসকিউয়ার কে খবর দিন। নিজে নিজে সাপ ধরতে যাবেন না। মনে রাখবেন আপনার অসাবধানতায় এক ছোবলেই মৃত্যু হতে পারে। সাপ হত্যা করা উচিত নয় কেননা সাপ আমাদের ইকোসিস্টেমের জন্য অত্যন্ত দরকারি। কালাচ কে কিভাবে রেসকিউ করা হয় নিচের ভিডিওতে দেখুন।

খুব সহজেই আমরা কালাচ সাপ থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখতে পারি।

১. ক্ষতস্থানে চন্দ্রবোড়া বা গোখরো এর কামড়ের মতো জ্বালা যন্ত্রনা করেনা বলে অনেকেই চিকিৎসা করান না।
উপরে উল্লেখ্য উপসর্গ গুলি অনুভব করলে বা সাপে কামড়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হলে সাথে সাথে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হসপিটালে যেতে হবে। যথা সময়ে চিকিৎসা হলে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রায় ১০০ শতাংশ ।

২. বাড়িতে কোন টোটকা করবেন না বা ওঝার কাছে নিয়ে যাবেন না তাহলে তার মৃত্যু অনিবার্য !

৩. বাড়ির চারপাশ ঘর ইত্যাদি পরিষ্কার রাখুন।

৪. উচ্ছিষ্ট খাবার ঘরের মধ্যে বা ঘরের কাছে ফেলা থেকে বিরত থাকুন। এর ফলে ইঁদুর আসবেনা। এবং সাপ আসবার সম্ভাবনা ও কমবে।

৫. বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখুন, ব্লিচিং ব্যবহার করুন যাতে পোকামাকড় ও না আসে।

৬. যাদের মাটির বাড়ি তারা মেঝেতে শোবেন না , অন্তত খাঁটিয়া বা মাচা জাতীয় কিছুতে ঘুমবেন। মশারি অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

৭. যতটা সম্ভব সাপের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন ও সতর্ক থাকুন এদের মারতে যাবেন না তাহলে বিপদ বাড়বে ।পরিবেশ বাঁচার অধিকার সবার আছে! শুধু মানুষের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
2 Comments
Ecency