Have you ever experienced a boat trip? This is ours..... ⛵🌊

বেশ অনেকদিন ধরেই প্ল্যান হচ্ছিলো নৌকা দিয়ে ঘুরার কিন্তু কোনো কারণে হয়ে উঠছিলো না। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুকলেই দেখা যায় প্রায় সবাই নৌকা ট্যুর দিচ্ছে। লকডাউনে বেশী দূর যেতে না পারলেও কাছে পিছে কোথাও যাওয়াই যায়। যেহেতু আমরা কেউ ই সাতার জানি না তাই নদীতে না গিয়ে ভাবলাম বিল দিয়েই ঘুরের আসি। এখন যেহেতু বর্ষাকাল বিলের পানিও খারাপ না। বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকে ডিটেইলস নিয়ে বিকেলে বেড়িয়ে পড়লাম।

PicsArt_08-07-10.12.37.jpg

বিলের পানি খুব শান্ত, স্রোত নেই বললেই চলে। বিলের পাশ দিয়েই আবার নদী....ওদিকটায় দেখলাম ভালই স্রোত। পানির ধারে সারি সারি নৌকা সাজিয়ে মাঝি রা অপেক্ষা করছে। আমাদের দেখেই সবাই ডাকতে শুরু করলো। আমরা যেহেতু ৭ জন ছিলাম তাই ভাবলাম একটু বড় নৌকা নিবো কিন্তু খুব বেশী বড় পাই নি কারণ বড় নৌকা গুলো আগে থেকে বুকড ছিলো। যাই হোক অনেক খুজে মোটামুটি পছন্দসই একটা নৌকায় উঠে বসলাম।

PicsArt_08-08-09.27.27.jpg

নৌকার পাটাতনে বেশ নতুন একটা শতরঞ্জি বিছানো ছিলো। আমরা সবাই সেখানেই বসেছি। যদিও আমরা বিকেল ৫:৩০ – এ বের হয়েছি তবুও রোদের তাপ ছিলো প্রচুর। সোনালি রোদের আলোয় বিলের পানি চিকচিক করছিলো। আশেপাশে আরো অনেক নৌকা ছিলো। মাঝে মাঝে দুই একটা ইঞ্জিনচালিত নৌকাও চোখে পড়ছিলো।

PicsArt_08-08-09.33.15.jpg

খুব বেশী ছবি তোলা যাচ্ছিলো না। একজন উঠে দাড়ালেই নৌকা এদিক ওদিক দুলতে থাকে। আমরা কেউ ই যেহেতু সাতার পারি না তাই একটু ভয়ে ভয়েই ছিলাম। যদিও মাঝি মামা বলছিলো কিছু হবে না। আপনারা ছবি তুলেন।

PicsArt_08-08-09.59.36.jpg

আবহাওয়া বেশ ভালো ছিলো। বাতাস ও ছিলো । মাঝে মাঝে সূর্য মেঘ দিয়ে ঢাকা পড়ছিলো। আবার বাতাসে মেঘ সরে গিয়ে সূর্য-র সোনালি কিরন দেখা যাচ্ছিলো। সব মিলিয়ে খুব মনোরম পরিবেশ ছিলো।

PicsArt_08-08-09.52.21.jpg

আমি নৌকার মাঝ বরাবরই বসে ছিলাম, কিনারে যেতে ভয় পাচ্ছিলাম। আমার কাজিনরা সবাই পানিতে পা ডুবিয়ে বসে ছিলো। আমিও একটু ট্রাই করেছিলাম। ভেবেছিলাম শাপলা ফুল তুলবো কিন্তু আফসোস হাতের কাছে কোন ফুল পেলাম না।

IMG_20210807_174246-01.jpeg

এদিকে সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। মাগরিবের আযান দিচ্ছে। নৌকা থেকে নামার সময় হয়ে এসেছে কিন্তু ওরা বললো আরেকটু ঘুরবে। কিন্তু এবার বিলে নয় নদীতে। যদিও আমি খুব একটা রাজি ছিলাম না কিন্তু জোর ও করিনি। ভালোই এঞ্জয় করছিলাম। নৌকা নদীতে পড়তেই দেখি ধারালো স্রোত। আমরা স্রোতের বিপরীতে যাচ্ছিলাম তাই নৌকা বেশ ধীর গতিতে আগাচ্ছিলো। চারিদিকে তখন অন্ধকার নেমে এসেছে। নদীর দু ধারে কোন জনমানব নেই, মাঝে মাঝে দু একটা বাড়িতে লাইট দেখা যাচ্ছিলো। সবাই ভয় পাচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম নদীতে ঘোরার সিদ্ধান্তটা না নিলেই ভালো হতো।
ফাইনালি ভালোভাবেই ঘাটে এসে পৌছালাম। প্রায় আড়াই ঘন্টা নৌকায় থাকাতে আমার মোশন সিকনেস হচ্ছিলো। প্রচুর মাথা ব্যথা ছিলো। যাই হোক শেষে মাঝি মামাকে তার খুশিমতো পারিশ্রমিক ও ধন্যবাদ দিয়ে বাসার দিকে গেলাম।।

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
1 Comment
Ecency