জীবন যখন যেমন........

tree-736875_1280.webp
pic

শরিফ বাইরে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। আজ এক পার্টির সাথে মিটিং আছে। শরিফ দালালের কাজ করে। তবে সে নির্দিষ্ট কোনো কাজের দালাল নয়। মানুষের বিভিন্ন কাজের দরকারে সে দালালি করে।

হঠাৎ মুনা এসে পাশে দাড়ায়। মুনা শরিফের মেয়ে। ওর বয়স তিন বছর। ভালোই কথা বলতে পারে সে। মুনা শরিফ এর দিকে চুপ করে তাকিয়ে থাকে। হঠাৎ ডাক দেয়-

বাবা।

কি আম্মু?

আজকে আসার সময় লিচু নিয়ে আসবা কিন্ত।

আচ্ছা আম্মু।

আনবে তো কালও বলেছিলে কিন্তু আনো নি। আজ অবশ্যই মনে করে আনবা।

আচ্ছা কালতো মনে ছিলো না, আজ নিয়েই আসবো।

শরিফ এর মনে আসলে ঠিকই ছিলো কিন্তু টাকা ছিলো না। তাই রাত করে ফিরেছিলো। ভেবেছিলো পরের দিন হয়তো ভুলে যাবে। কিন্তু ভুলে নাই। মেয়েটা তার মেধাবী। সহজে কিছু ভুলে না। তবে আজ্ও লিচু নিয়ে আসতে পারবে কিনা জানে না শরিফ। তার সময় খুব খারাপ ই যাচ্ছে দুই বছর যাবত। আগে এমনটা ছিলো না। একটা ছোটোখাটো চাকরি ছিলো যা দিয়ে মোটামুটি চলতে পারতো।

তবে সমস্যাটা আরো আগের। শরিফের বাবা ভালোই সম্পদশালী ছিলো। তাই সে চাকরির পিছনে ছুটে নাই। আবার ব্যবস্যা ও শুরু করে নাই। অবশ্য তার খুব ইচ্ছা ছিলো এমন না। জমিজমার টুকিটাকি কাজ শিখেছিলো বাবার কাছ থেকে তবে সেটাও করে নাই। আসলে শরিফকে অলস ই বলা যায়। তার বাবা মারা যাওয়ার পরও তেমন চিন্তা ভাবনা ছিলো না। বিয়েও করে নাই তাই এতো চাপ ছিলো না।

কিন্তু বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছিলো আবার সরকারি চাকরির বয়সও শেষ হয়ে গিয়েছিলো। তাই অনেক কষ্টে একটা কোম্পানিতে জয়েন করেছিলো। বিয়ে করে ভালো চলছিলো কিন্তু হটাৎ ঝড়ের মতো করোনা এসে ধাক্কা দিলো শরিফের সুখের সংসারে ।

করোনায় চাকরি চলে যায় শরিফের। কিন্তু শরিফ গায়ে লাগায় নি তেমন। আর অন্য চাকরির তেমন চেষ্টা করে না। শরিফের স্ত্রী অনেক বলেছে একটা চাকরি যোগাড় করতে কিন্তু শরিফ শুনে নি। শরিফের স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলো। কিন্তু তাতে মনে হয়েছে শরিফের ভালোই হয়েছে। সে এসব ধান্ধা ফিকির করেই চলতেছে।শরিফের স্ত্রী চলে আসছে কিন্তু তার কাজ পরিবর্তন হয়নি। তাই এসব করেই যা পায় তাতেই চলে।

শরিফ ভাবতে থাকে আজ যদি কাজটা না হয় তাহলে আজও রাত করে ফিরতে হবে।

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
2 Comments
Ecency