আজকের উইম্বলডনের সেমিফাইনাল ম্যাচে জোকোভিচ বিজয়ী হয়ে ফাইনালে উঠলেন


IMAGE SOURCE
আজকে সেমিফানাল ম্যাচ ছিল। আজকের সেমিফাইনালে জোকোভিচ এর সাথে মোকাবেলা ছিল সাপোভলভ এর। এদের দুইজনের দারুন কন্টেস্ট এর মধ্যে দিয়ে খেলা শেষ হয়েছে। তবে আজকে একই দিনে দুটি সেমিফাইনাল খেলা শেষ হয়েছে।

প্রথমটা দুপুরের দিকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং দ্বিতীয়টা রাতের দিকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচটি যদিও আমি দেখিনি তবে হাইলাইটস দেখে নিয়েছিলাম। প্রথম ম্যাচটি খেলা হয়েছিল বেরেটটিনি এবং হুড়কাকজ এর মধ্যে।

এখানে বেরেটটিনি এর সামনে হুড়কাকজ একপ্রকার বলতে গেলে কোনো রাউন্ডেই টিকতে পারেননি। একপ্রকার নিরামিষভোজী খেলা হয়েছে এদের মধ্যে। বেরেটটিনি প্রতিটা রাউন্ডেই ৬ পয়েন্ট করে তুলে নিয়েছে। আর হুড়কাকজ কোনোটায় শূন্য, কোনোটায় ৩ এইরকম পয়েন্ট তুলেছে। খুব সহজেই বেরেটটিনি ম্যাচ জিতে যায় এবং ফাইনালের দরজায় পৌঁছে যায়।

অন্যদিকে জোকোভিচ এবং সাপোভলভ এর ম্যাচ এর প্রতিটা রাউন্ডে একটা কন্টেস্ট তৈরি হয়েছিল। অনেকবার তারা দুইজনই পয়েন্টের শেষ মুখে গিয়ে একজন জিতে পয়েন্ট নামিয়ে দেয় এবং অন্যজন পয়েন্ট জিতে আবার পয়েন্ট বাড়ায়, এই করে তাদের মধ্যে এইরকম বেশ খানিক্ষন লড়াই চলে।

তবে খেলার মধ্যে একটা মজার কাহিনী ঘটেছে যেটা বরাবরই ঘটেছে জোকোভিচ এর সাথে, সেটি হলো খেলতে খেলতে পা পিছলে পড়ে যাওয়া। আজকে আবহাওয়া ঠিক ছিল সুতরাং মাঠ ঠিক ছিল, ফলে পড়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না।

জোকোভিচ যেকয়টা ম্যাচ খেলেছে প্রায় সবগুলোতে এক-দুইবার পা পিছলে পড়েছে এবং পয়েন্ট হারিয়েছে। তবে লাস্ট রাউন্ডে জোকোভিচ এর সামনে টিকতে পারেনি, ৪ মিনিটেই লাস্ট রাউন্ড জিতে যায় এবং ফাইনালে উঠে যায়।

আমি আগের ম্যাচগুলোতে একবার বলেছিলাম যে জোকোভিচ এর খেলার যে ধরণ এবং কলাকৌশল তাতে ফাইনালে পৌঁছাবে। অবশেষে সেটিই হলো। এখন ফাইনাল ম্যাচ দেখার বিষয় যে কে উইম্বলডনের কাপ ঘরে তুলছে।

ধন্যবাদ:))

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
1 Comment
Ecency